ইলেকট্রো-ডিপজিশন পদ্ধতি
(Describe Electro-Deposition Process) 

ইলেকট্রো-ডিপজিশন পদ্ধতি মূলত ইলেকট্রোপ্লেটিং-এর অন্তর্গত একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে একটি ধাতব পদার্থকে অপর একটি ধাতব পদার্থের দ্বারা আবরণ দেয়া হয়। যে সকল বিষয়ের উপর ডিপজিটেড (Deposited) বস্তুর বাহ্যিক অবস্থা নির্ভর করে তা হলো:

(১) কারেন্ট ডেনসিটি (Current Density)

(২) তাপমাত্রা (Temperature)

(৩) ইলেকট্রোলাইটের কনসেন্ট্রেশন (Electrolyte Concentration)

(৪) প্রয়োগকৃত ইলেকট্রোলাইটের শক্তি (Throwing Power of the Electrolyte)

(৫) যে বস্তুর উপর ডিপজিট করা হবে তার প্রকৃতি (Nature of the Metal on Which the Deposit is to be             Made)

(৬) ইলেকট্রোলাইটের প্রকৃতি (Nature of Electrolyte)

(৭) যোগকৃত এজেন্ট (Addition Agent)

ডিপজিশন করার কারণ বা সুবিধা

১। মরিচা রোধ করার জন্যে,

২। ডেকোরেশন বা সাজসজ্জা করার জন্যে,

৩। পুনর্গঠন বা মেরামত করার জন্যে,

৪। ম্যানুফ্যাকচারিং অপারেশন করার জন্যে।

ডিপজিশন পদ্ধতি (Deposition Process): এ ডিপজিশন পদ্ধতিতে যে বস্তুটিকে ইলেকট্রোপ্লেটেড (Electroplated) করতে হবে তাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার, মসৃণ করা হয় এবং আঠালভা থেকে মুক্ত করার পর ক্যাথোডে সংযোগ করা হয়। যে পাত্রে করা হয় তাকে ভোল্টাইক নেল বলে। এ পাত্রে ইলেকট্রোলাইট থাকে। বস্তুর চারিপার্শ্বে ইলেকট্রো-প্লেটিং হতে হলে বস্তুর চারপার্শ্বে অ্যানোড যথাযথ থাকতে হবে অথবা বস্তুটিকে সমস্পীডে ঘুরাতে হবে। ইলেকট্রোলাইটের প্রকৃতি নির্ভর করে বস্তুর উপর আবরণ দেয়ার বিষয়ের উপর। যেমন সোনা অথবা রূপার প্রলেপ দেয়ার জন্যে ব্যবহৃত ইলেকট্রোলাইট ক্ষারধর্মী হতে হবে এবং নিকেল অথবা কপারের প্রলেপ দেয়ার জন্যে ইলেকট্রোলাইট এসিডধর্মী হতে হবে।

ইলেকট্রোপ্লেটিং-এ অল্পমাত্রার ডি.সি ভোল্টেজ (1-6 ভোল্ট) প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বস্তুর জন্যে কারেন্ট-ডেনসিটি বিভিন্ন রকম হয়। ইলেকট্রোপ্লেটিংকৃত বস্তু ভালমতে পরিষ্কার, মসৃণ ও আঠালতামুক্ত না থাকলে বস্তুর উপর আবরণ ভাল হবে না এবং উঠে আসবে।

কার্বন ব্রাশের উপর কপার প্লেটিং-এর পদ্ধতি